নিজস্ব প্রতিবেদক,২৩ এপ্রিল: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক সংকটে ধুকছে। সারাদেশের প্রায় শতভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। নিয়মিত শিক্ষক সংকট ছাড়াও কর্মরত শিক্ষকরা নানা ছুটিতে থাকায় পাঠদান মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের ২০ শতাংশ তথা প্রায় ৭০ হাজার ‘পুল শিক্ষক’ নিয়োগের পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যারা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী তাদেরকে গুনগত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে এটা অর্জন করা সম্ভব হবে না। প্রশিক্ষণ ছাড়াও শিক্ষকরা নানা ধরনের ছুটিতে থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকে। পাঠদান নিশ্চিত করতে আপদকালীন ২০ শতাংশ পুল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছি।’
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষক নিয়োগের পর বাধ্যতামূলক দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এছাড়া শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ , আইসিটি প্রশিক্ষনসহ আরও স্বল্প মেয়াদী অনেক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। পেশাগত দক্ষতা অর্জনে অনেক শিক্ষক বিএড, এমএডসহ নানা ধরণের কোর্স করেন। বর্তমানে পিইিডিপি-৪ এর মাধ্যমে শিক্ষকদের বিদেশে মাস্টাস কোর্স করানো হচ্ছে। ৬৮ ভাগ নারী শিক্ষক হওয়ায় তাদের অনেকে ছয়মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকেন। অন্যান্য শিক্ষকরা মেডিক্যাল ছুটি, অর্জিত ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটি ভোগ করেন। বছরে গড়ে ২৭০ দিন স্কুল খোলা থাকে। শিক্ষকের অভাবে এই সময়ের মধ্যে কোর্স শেষ করা যায় না। শিক্ষক সংকটই দেশের প্রাথমিক শিক্ষার দুর্বলতার প্রধান কারণ।
তিনি আরও বলেন আমার বিদ্যালয়ের নাম আজমপুর সপ্রাবি। এ বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও বিভিন্ন কারনে দীর্ঘদিন যাবত ৪ জন শিক্ষক উপস্থিত আছেন। একজন শিক্ষক মেডিক্যাল ছুটি, অর্জিত ছুটি ভোগ করার কারনে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মানের বিঘ্ন ঘটছে। যদি পুল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব। সরকারের এ উদৌগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।