স্বাস্থ্য ডেস্ক: সন্তানের জন্মে প্রতিবন্ধকতার জন্য নারী-পুরুষ দু’জনের সমান দায় থাকতে পারে। তবে নারীর বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের বিষয়টি নিয়ে সবাই যেমনটা সোচ্চার ও সচেতন পুরুষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে ততটা নয়। কিন্তু বিষয়টি খুবই গুরুতর।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের পিছনে জীবনযাপন ও খাবার-দাবার অনেকাংশে দায়ী। কিছু পদক্ষেপ নিলে এটি প্রতিরোধ সম্ভব। যেমন:
নিয়মিত ঘুম ও শরীর চর্চা: গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম হলে শুক্রানুর পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও তা গুণগতভাবে দুর্বল হয়। তাই নিয়মিত ঘুম ও শরীরচর্চার অভ্যাস থাকতে হবে। ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
ধূমপান বন্ধ: ২০টি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা পর্যবেক্ষণ করে ২০১৬ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় ধূমপান শুক্রানুর পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
চাপ থেকে দূরে থাকুন: যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুতরাং যতটুকু সম্ভব চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। এজন্য শরীরচর্চা করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে চাপ কমাতে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে পারেন।
ত্যাগ করতে হবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও মাদকগ্রহণের অভ্যাস: গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা এবং কোকেন শুক্রানুর উৎপাদন কমিয়ে দেয়। সুতরাং এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো একেবারে বন্ধ করে দিলে শুক্রানুর উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।
কথা কথায় ওষুধ নয়: কিছু মেডিসিনও পুরুষের বন্ধ্যাত্বকে ত্বরান্বিত করতে পারে। তাই সচেতনভাবে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। বন্ধ্যাত্ব গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে