পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা

Image

অবশেষে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। ক্লাসের বাছাই করা ও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পরিবর্তন হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর তা চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। এমন প্রেক্ষাপটে একটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

এতে বলা হয়েছে এখন যে পাঠ্যবইগুলো শিক্ষার্থীরা পড়ছে, এই বছর তাই পড়ে যাবে, তবে মূল্যায়ন হবে আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে বই পরিবর্তন হবে।

এই পরিবর্তনে প্রাথমিক স্তরের ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে ছাপা হবে।

পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হবে। মূল্যায়ন পদ্ধতি যতদূর সম্ভব ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষাক্রমের মতো হবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে এ বছর বই না বদলালেও পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে, যা বর্তমান শিক্ষাক্রমে ছিল না।

আর মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক এখন যা আছে, শিক্ষার্থীরা এ বছর সেটাই পড়বে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত ও পরিমার্জিত বই পাবে তারা।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন অর্ধেক নেওয়ার পর আটকে গিয়েছিল আন্দোলনের কারণে। তা আর নেওয়া হবে না। ডিসেম্বরে আগের মতোই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে।

অর্থাৎ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের সৃজনশীল কারিকুলামে ফিরছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। এতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৭টি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই কারিকুলামের পাঠ্যবই দেওয়া হবে। আর প্রাথমিকের তিন শ্রেণির বই থাকবে চলতি শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষাক্রমের আদলে।

বাংলাদেশে সাধারণ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু হয় ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে। তখন থেকেই যুগ যুগ ধরে চলে আসা বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এরপর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় জেএসসি পরীক্ষা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।