পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এনআইডি ফি এখন অনলাইনে

ই-চালানের মাধ্যমে এখন থেকে অনলাইনে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফি প্রদান করা যাবে। এই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে জমা হয়ে যাবে সরকারি কোষাগারে। সেবাগ্রহীতার হয়রানি কমাতে ও আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই সুবিধা চালু করা হয়েছে।

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রমুখ।

এ প্রকল্প বিষয়ে মুসলিম চৌধুরী বলেন, এটি এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ে সেবা পেতে চাইলে গ্রাহক শুধু অনলাইনে টাকা জমা দেবেন। সেই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যাবে। একই সঙ্গে সেবাপ্রার্থীকে যথাযথভাবে সেবা প্রদান করা হবে। এতে করে গ্রাহকের হয়রানি কমবে। পাশাপাশি এসব সেবায় কোনো ধরনের ঘুষ বা উৎকোচের প্রচলন থাকবে না। অর্থাৎ আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাটির ডিজিটাইজেশন এবং সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারি বিভিন্ন সেবায় ফি ইলেকট্রনিক উপায়ে গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই লক্ষ্য পূরণে অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে একসেসে টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই ইলেকক্ট্রনিক চালান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম তৈরি করা হয়। echallan.gov.bd এই ওয়েব ঠিকানায় প্রবেশ করে এসব সেবার ফি জমা দেয়া যাবে।

mannan

অর্থসচিব বলেন, সরকারি সেবায় ফি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ ও দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সরকারের কোষাগারে অর্থ যথাসময়ে জমা হয় না। চালানের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে কত টাকা জমা আছে বা লেনদেন চলমান, তার কোনো সঠিক রিপোর্ট থাকে না। তাই অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়।

তিনি আরও বলেন, ম্যানুয়াল চালান পদ্ধতির কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক রাজস্ব আহরণের হিসাব ও সরকারের হিসাবের মধ্যেও একটা পর্থক্য রয়ে যায়। এ পার্থক্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি আরও বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়িত হলে এ পার্থক্যও আর থাকবে না।

এ পদ্ধতিতে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

১. অনলাইনে ব্যাংকিং সুবিধা আছে এমন যে কেউ অনলাইনে রাজস্ব জমা দিতে পারবেন। তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিদির্ষ্ট ফরম অনলাইনে পূরণ করার পর ‘পরিশোধের পদ্ধতি’ অংশে গিয়ে ‘অনলাইন পরিশোধ’ অপশনটি নির্বাচন করে নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ ট্রান্সফারের মাধ্যমে চালানের অর্থ জমা দেয়া যাবে।

২. অনলাইন ব্যাংকি সুবিধা নেই কিংবা টাকার পরিমাণ বেশি কিংবা অনলাইন লেনদেনে আগ্রহী নন, এমন যে কেউ ‘ই চালান’ এর নির্দিষ্ট অংশগুলোর তথ্য পূরণের পর ‘পরিশোধের পদ্ধতি’ অংশে গিয়ে ‘কাউন্টার জমা’ অপশনটি নির্বাচন করবেন। এরপর প্রিন্ট অপশনে গিয়ে ‘বার কোড’ যুক্ত অংশটি পূরণের পর চালান ফরমটি প্রিন্ট করে নিদির্ষ্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নগদ/চেক/ড্রাফট/পে অর্ডারসহ জমা দিতে হবে। ‘বার কোড’ রিডিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক কাঙ্ক্ষিত তথ্য আহরণ করে লেনদেনটি সম্পন্ন করবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।