নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩:
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে লেখা সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে ইন্টারনেট থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অংশটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহারের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তারা দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই: হুবহু চুরি আর গুগলের অনুবাদে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?
বিবৃতিতে তারা বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি মতামত কলামে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ্য বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বইয়ের কোনো কোনো অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেক লেখক জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সকল লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের পুরো টিমের জন্য হতাশা এবং মনখারাপের কারণ হয়। উক্ত অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরেও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।
বিবৃতিতে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান বলেন, এই বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লেখিত অভিযোগের বাইরেও যে কোনো যৌক্তিক মতামতকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেব এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।