পাঠ্যপুস্তকে কিশোরীর ‘ উপযুক্ত পোশাক’ বিষয়ে রাশেদা কে চৌধুরী বললেন ‘ এটি শুরুতেই শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে’

২০১৯ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘কৈশোরকালীন পরিবর্তন ও নিজের নিরাপত্তা রক্ষা’ বিষয়ক সপ্তম অধ্যায়ে সাদা-কালো সালোয়ার-কামিজ আর সাদা ওড়না গায়ে এক কিশোরীর ছবি। ছবির নিচে লেখা, ‘উপযুক্ত পোশাকে কিশোরী’। এই ছবির পাশেই লেখা, ‘মেয়েরা তাদের দৈহিক পরিবর্তন অন্যরা দেখে বিরূপ মন্তব্য করতে পারে বলে ভয়ে ভয়ে থাকে। সেজন্য এমন পোশাক পরা আবশ্যক।

এবিষয়ে লেখক শাহীন আখতার বলেন, ‘ পুরুষ কিভাবে পোশাক পরবে সেটিতো পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকে না।  তবে নারীর জন্য এরকম প্রস্তাবনা কেন? কারণ কিছুই নয়, এই শিক্ষাব্যবস্থা যে পুরুষতান্ত্রিক এরই প্রমাণ মিলল এমন পোশাক প্রস্তাবনায় ‘

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন,  ‘উপযুক্ত পোশাক নির্ধারণ করা পাঠ্যপুস্তকের কাজ নয়। পাঠ্যপুস্তকে উপযুক্ত পোশাকের মতো বিষয় রাখার মানে হলো, শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মনোজগতের মধ্যে বিষয়টি ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করা।’

সেভ দ্য ওম্যান এর নির্বাহী পরিচালক জাভেদ পীরজাদা বলেন, `বর্তমানে কিশোরীরা ফুটবল খেলছে। ক্রিকেট খেলছে। রাষ্ট্রীয়ভাবেই তা উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর পাঠ্যপুস্তকে কিশোরীদের জন্য এমন কথা দু:খজনক।‘

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।