নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ এইচএসসি পরীক্ষায় সারাদেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। এ তালিকায় রয়েছে ঢাকা বোর্ডের অধীনে থাকা আটটি কলেজ।
শূন্যপাস করা আটটি কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বোর্ড। প্রাথমিকভাবে কেনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে বিনা মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কোর্স চালু
বৃহস্পতিবার শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার সেন্ট্রাল আইডিয়াল কলেজ, শাহজাহানপুরের ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, মানিকগঞ্জ সদরের আফরোজা রমজান গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার আলোয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলার নূর নেসা কলেজ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতৈল আইডিয়াল কলেজ, গোপালগঞ্জ সদরের ডা. দেলওয়ার হোসেন মেমোরিয়াল কলেজ এবং কিশোরগঞ্জ সদরের লে. কর্নেল (অব.) করিম ভূইয়া কলেজ।
কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বোর্ড জানিয়েছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে না পারায় প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি কেনো বাতিল করা হবে সে বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। বৃহস্পতিবারই শূন্যপাস করা ৮টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
শোকজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে, সবুজবাগ এলাকার সেন্ট্রাল আইডিয়াল কলেজ থেকে ১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিলেও কেউ পাস করেনি। শাহজাহানপুরের ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে ৩ জন পরীক্ষা দিলেও কেউ পাস করেনি। মানিকগঞ্জ সদরের আফরোজা রমজান গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কিন্তু কেউ পাস করেনি।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার আলোয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ জন, কিন্তু পাস করেননি কেউ। রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলার নূর নেসা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৪ জন, কেউ পাস করেননি। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতৈল আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসিতে ৩ জন অংশ নিলেও কেউ পাস করেননি। গোপালগঞ্জ সদরের ডা. দেলওয়ার হোসেন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ৪ জন এইচএসসি দিয়েছিলেন, কিন্তু পাস করতে পারেননি কেউ। আর কিশোরগঞ্জ সদরের লে. কর্নেল (অব.) করিম ভূইয়া কলেজ থেকে তিন জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেও কেউ পাস করেননি।