নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদানে কালক্ষেপণসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। দাবি না মানলে গণঅনশন করবেন তারা।
শুক্রবার (৪ই আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রধান শিক্ষকদের চলতি পদে দায়িত্ব প্রদানসহ এসব দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধান শিক্ষকদের করস্পন্ডিং প্রদান পূর্বক ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটের মর্যাদা প্রদান এবং সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান করা, সহকারি শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত সর্বস্তরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শতভাগ পদোন্নতি দেওয়া, সমাপনী পরীক্ষা ব্যতীত বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন সকল পরীক্ষা পূর্বের ন্যায় বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরীসহ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা, শিওরক্যাশসহ পাঠদান বহির্ভূত কাজ হতে শিক্ষকদের মুক্ত রাখা এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ম শ্রেণিতে উন্নতির ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নন ভেকেশনাল হিসেবে গণ্য করা।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদানে কালক্ষেপনসহ উল্লিখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
দাবি মানা না হলে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের পর ১৬ই আগস্ট থেকে ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে উপজেলা, জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের একত্রিত করে সভার আয়োজন করবে এবং আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ১৯শে সেপ্টেম্বর সারাদেশের শিক্ষকদের সমন্বয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়া ১৯শে অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সারাদেশের শিক্ষকদের সমন্বয়ে মহাসমাবেশ ও গণঅনশন কর্মসূচি দাবি মানা না পর্যন্ত পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া।