পাঁচের বদলে চার অপশনে ক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি,১৫ সেপ্টেম্বর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রতিটি প্রশ্নের বিপরীতে চারটি অপশন রাখা হয়েছে।

অথচ ইতোপূর্বে এই ইউনিটে প্রতিটি প্রশ্নের বিপরীতে পাঁচটি করে অপশন রাখা হতো। আর প্রতিটি ভুল প্রশ্নের জন্য কাটা হতো ০.২৪ নম্বর। অথচ এবার অপশন কমিয়ে আনা হলেও ‘নেগেটিভ মার্ক’ আগের মতোই রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ভুলের জন্য ০.৩০ নম্বর করে কাটা হয়। তারা প্রতিটি প্রশ্নের বিপরীতে চারটি করে অপশন দিয়ে থাকে।

অপশন কমিয়ে আনা হলেও ‘নেগেটিভ মার্ক’ কেন আগের মতো রাখা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ‘গ’ ইউনিট ভর্তির কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এটাতো পরীক্ষার আগেই হয়েছে নতুন কিছু না। আর আমরা ০.৩০ কাটবো না ০.২৪ কাটবো তাতে কী আসে যায়। আগের নিয়ম কিংবা অন্য ইউনিটের সঙ্গে তুলনা করার তো কোনো প্রয়োজন নেই। এটার তো কোনো ‘রুলস’ নেই। আগে চারটা ছিল এবার পাঁচটা অপশন, এটা কোনো সমস্যা না।

এ দিকে প্রশ্নপত্রের মধ্যেও ছিল কয়েক জায়গায় সমস্যা। অনেক ভর্তিচ্ছু দাবি করেছেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের দেয়া প্রশ্নপত্রের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট অংশ ছিল না। পরে অবশ্য তা সংশোধন করে দেয়া হয়েছে।

মাহবুবুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশ্নপত্রে যদি অপশন কমানো হয় তাহলে নেগেটিভ মার্কও অন্যান্য ইউনিটের মতো ০.৩০ করা উচিৎ ছিল। কারণ, আমি একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলাম অথচ অন্য একজন ভুল উত্তর দিয়েও তার সঙ্গে আমার পার্থক্য বেশি হচ্ছে না; যা কর্তৃপক্ষের আগেই ভাবা উচিৎ ছিল।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইটে অন্য চারটি ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকা দেয়া থাকলেও ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকা দেয়া হয়নি।

অন্যান্য ইউনিট তাদের নির্দেশিকায় প্রতিটি প্রশ্নের বিপরীতে কতটি অপশন থাকবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কত নম্বর কাটা যাবে তা স্পষ্ট করলেও ‘গ’ ইউনিট সেটি করেনি। তাই এটি নিয়েও রয়েছে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে নানা মত।

এদিকে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো জালিয়াতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সকলের সতর্কতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কেন্দ্রগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করায় জালিয়াত চক্র আরও ব্যর্থ হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকলের স্বপ্নের জায়গা। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে চলছে। কেউ জালিয়াতি করতে চাইলে ধরা পড়বে। ভ্রামমাণ আদালতও সক্রিয় রয়েছে।

উল্লেখ্য, গ-ইউনিটে ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৫৪ জন ভর্তিচ্ছু ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।