ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হতে দেড় মাস করে সময় লাগে, রাতারাতি এ পদ্ধতির পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে বিশ্বব্যাংক এডুকেশন সেক্টর রিভিউ (২০১৩) এর উপর গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এ সব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সামর্থ্যানুযায়ী ক্লাসে পড়ান না। কিন্তু একই শিক্ষক কোচিং সেন্টারে গিয়ে ক্লাসের চেয়ে ভালোভাবে পড়ান। আমি খুবই হতাশ। শিক্ষকরা আন্তরিক না হলে এ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই পরিবর্তন হবে।’
শিক্ষকতা মহান পেশা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যোগ্যতাসম্পূন্ন খুব কম লোকই শিক্ষকতা পেশায় আসতে চায়। ফলে এখানে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক পাওয়া যায় না। যারা আছেন তাদের অনেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে পড়ান না।’
দেশের উন্নতির জন্য বিশ্বমানের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র, দুর্নীতি ও নিরক্ষরতামূক্ত দেশ গড়াই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। আমাদের অনেক সমস্যা আছে, আমাদের শিক্ষার মান খুব ভালো নয়। তবে এ কথা সবার স্বীকার করতেই হবে যে, দিন দিন আমাদের শিক্ষার মান বাড়ছে। কোনো দিক থেকেই শিক্ষার মান কমছে না।’
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রদিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘প্রদিবেদনে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা অবশ্যই পরামর্শগুলো বিবেচনা করবো। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য যে কেউ আমাদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন গণস্বক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ। প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে উপস্থিত অনেকে উন্মূক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন ঝিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, গণস্বক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জেসকু হেনসেল, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অমিত ধর ও আইনবিদ ড. শাহদীন মালিক প্রমূখ।