সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ধাপে ধাপে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হতে পারবেন। এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিধি চূড়ান্ত করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করার পর কোনো পদোন্নতি পান না। একজন সহকারী শিক্ষককে ৩৮ বছর একই পদে থেকেই চাকরি জীবন শেষ করতে হয়। পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় অনেকে কাজের আগ্রহ হারাচ্ছেন। এই অবস্থা দূর করতে নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন কিংবা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন বা পাবেন তাদের মধ্য থেকেই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। নতুন এই বিধিমালায় বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদেরও পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হবে। পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দু’টি পরিচালক পদেও ধাপে ধাপে পদোন্নতি পাবেন তারা।
ওই সূত্র আরও জানায়, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত হবে। এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হওয়ার পর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে না। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। আর বর্তমানে যারা প্রধান শিক্ষক আছেন তারাও পদোন্নতি পাবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির না থাকায় একটি স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। এজন্য ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়। অবশেষে বিধিমালা নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষকরা অধিদপ্তরের পরিচালক হওয়ারও সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে নতুন করে মেধাবীরা এই পেশায় আসার আগ্রহ দেখাবেন।
প্রসঙ্গত,২০২০ সালের শুরুতে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এবং পরবর্তীতে কিছু জটিলতার কারণে এটি আটকে যায়। দীর্ঘদিন পর এই নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।