পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি খুব শীঘ্রই!

Image

ডেস্ক,২২ মার্চ ২০২৩: বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে।

ফলে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক পদ খালিই থাকছে। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব শূন্যপদ ও নতুন করে খালি হওয়া শূন্যপদগুলো পূরণের চিন্তা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। তবে, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১১ জুন থেকে লাগাতার ধর্মঘট

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক শিক্ষাবার্তাকে বলেন, যে পদগুলো খালি আছে ওইসব পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এ পদগুলোতে প্রার্থীই নেই। এসব পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। আমরা ভাবছি পঞ্চম বা পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করবো। এজন্য ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী প্রস্তুত করতে হবে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আরো পড়ুন: মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও যে কারনে সুপারিশ পাননি

তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের যতো পদ শূন্য আছে ততো প্রার্থী নেই। চারু ও কারুকলায় আড়াই হাজার পদ থাকলেও প্রার্থী রয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন। এরকম আরো বেশ কয়েকটি বিষয় আছে। এ ধরনের পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এছাড়া কিছু পদ ছিলো মহিলা কোটার। শূন্য থাকা পদগুলোতে প্রার্থী পাওয়া যাবে না।

এদিকে আগামী মে মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষা আয়োজনের পর ফল প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় লাগবে। ফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভায় অংশ নিতে হবে। ভাইভার জন্য সাধারণত দুই মাস সময় লাগে। এ পরিস্থিতিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল কবে নাগাদ প্রকাশ হতে পারে বা কবে নাগাদ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।

গত ১৩ মার্চ বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তির ৩৫ হাজার ৯৫২টি শিক্ষক পদ শূন্যই রয়ে যায়। আর প্রবীণ শিক্ষকরা অবসরে যাওয়া প্রতিদিনই শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রচলিতভাবে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে এনটিআরসিএ।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।