নিজস্ব প্রতিবেদক,২৬ মার্চ ২০২৩: দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েকটি আবেদন চলছে। মেডিকেলসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে। ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাঁদের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবার তিনটি গুচ্ছ ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে। যদিও ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে এ বছরও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, এটি নিশ্চিত।
পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসাবে বন্দি স্কুল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি অনলাইন কোর্স চালু করেছে। এ কোর্সটি করা যেতে পারে।
এ মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হয়। প্রস্তুতি পরীক্ষার পাশাপাশি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে, কবে আবেদন করতে হবে, পরীক্ষা কবে বা ফলাফল ঘোষণা করা হবে কখন? এমন নানা বিষয়ে তাদের হালনাগাদ তথ্য রাখতে হবে। না হলে গড়মিল হয়ে যেতে পারে। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বিভাগে ভর্তির সুযোগও নষ্ট হতে পারে।
তথ্যগুলো জানতে সব সময় মনোযোগী হলে প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা থেকে যায়। সে কারণে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের তথ্যগুলো হালনাগাদ করার জন্য একটি নোট রাখা জরুরি। কোন বিশ্ববিদ্যালয় কবে আবেদন, পরীক্ষা বা ফলাফল ঘোষণা করা হবে, এগুলো নোট করতে হবে। একবার নোট করে রাখলে আর সেটি নিয়ে পরে দুশ্চিন্তা থাকবে না।
তবে এখানে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারিখগুলো অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা গুচ্ছের ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞপ্তি দেখে নোট করতে হবে। কারণ গণমাধ্যমে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য তারিখের আপডেট দেয়। নানা কারণে পরবর্তীতে এসব তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। এ কারণে বিজ্ঞপ্তি দেখে তবেই তারিখগুলো নোট করে রাখতে হবে।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিশেষ করে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিযোগিতা বেশি। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির নিশ্চয়তা পেতে অনেকগুলো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ কারণে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যগুলো নোট করে রাখলে কোনোটির পরীক্ষা মিস হওয়া সম্ভব নয়। প্রস্তুতিও ভালোভাবে নেওয়া যাবে।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষক মিঠুন চন্দ্র