২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে নিশ্চায়ন করতে হবে। নিশ্চায়ন না করলে প্রথম ধাপে কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নির্বাচন বাতিল বলে বিবেচিত হবে। পছন্দের কলেজ না পেলেও শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে এ নিশ্চায়ন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে এ নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ধাপের আবেদনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা গেছে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপেও এ সুযোগ থাকছে। তৃতীয় ধাপের আবেদন শেষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। একাদশে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা আগামী ৮ অক্টোবর থেকে।
অনেকে পছন্দের কলেজ পাননি। এজন্য তারা প্রাথমিক নিশ্চায়ন নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তারা বলছেন, পছন্দের কলেজ না পেলেও শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপে নিশ্চায়ন করতে হবে।
তারা জানান, কারও হয়তো প্রথম পছন্দ ছিল ঢাকা কলেজ, কিন্তু তৃতীয় পছন্দ দেওয়া ছিল অন্য একটি কলেজ। ফলাফলের ভিত্তিতে কলেজ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের হয়তো দুই-তিন নম্বরে দেওয়া পছন্দের কলেজ পেয়েছেন।
যারা এমন প্রথমদিকের পছন্দের কলেজ পাননি, তাদেরও এখন নিশ্চায়ন করে মাইগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি কেউ নিশ্চায়ন না করেন, তবে তার মাইগ্রেশনের অপশন বন্ধ হয়ে যাবে। তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। এতে তৃতীয় যে কলেজ পেয়েছিল সেটিও পরে না পেতে পারেন। এতে তাকে দুই কূলই হারাতে হবে।
দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে আবেদন
একাদশে ভর্তিতে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১২-১৪ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। প্রথম মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা। আর ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে।
আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে। এর আগে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ জন পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে আবেদন করেও কলেজ পাননি ৪৫ হাজার ১৮৩ জন।
অন্যদিকে সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। সব বোর্ড মিলিয়ে পাস করেছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে সাড়ে ৯ লাখেরও বেশি আসন খালি পড়ে থাকবে। তবে পছন্দের কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন অনেক শিক্ষার্থী।