বিধিবর্হিভুতভাবে টাইমস্কেল নেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য
নোয়াখালি প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর ও হাতিয়া উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে পদোন্নতি নেয়ার ক্ষেত্রে কাক্ষিক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এবং ২৯/১২/২০১২ খ্রিঃ তারিখের পরে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে পদোন্নতি না দেয়ার সুযোগ না থাকলেও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর( নোয়াখালী) উপজেলার শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন বাবর, সুবর্ণচরের মোঃ আলী আক্কাছ,প্রধান শিক্ষক, চরজুবলী অলি উল্যাহ সপ্রাবি ও হাতিয়া উপজেলার মোঃ নবীর উদ্দিন গং সহযোগীতায় বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাও বাস্তবায়ণ ইউনিট, শিক্ষা ভবন, ঢাকার অসাধূ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিমিনয়ে জুন- ২০১৩ এর এমপিওর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের স্কেল প্রাপ্ত হয়ে এসএসসি ও এইচএসসি তে ৩য় বিভাগ থাকা শিক্ষকবৃন্দ প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বেতনগ্রেডে দুই দুইটি টাইমস্কেল পরিগ্রহন করছে।
অনিয়মের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়া শিক্ষকরা হলেন নোয়াখালী সদর উপজেলার ১। ছৈয়দ আহাম্মদ ,প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ খলিসা টোলা সপ্রাবি, ২। ফয়েজের রহমান, প্রধান শিক্ষক, বদিয়াজ্জামান সপ্রাবি, ৩। মো ঃ নুরুল হক, প্রধান শিক্ষক, দেবীপুর সপ্রাবি হাতিয়া উপজেলার ১। মোঃ নুর উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক , জাহাজমারা লুৎফুল করিম সপ্রাবি, ২। আবদুল মতিন, প্রধান শিক্ষক, অাবদুল খালেক সপ্রাবি ৩ । মোঃ আমির হোসেন, প্রধান শিক্ষক, উত্তর পশ্চিম জাহাজমারা সপ্রাবি, ৪। আকতারা বেগম লাকি, প্রধান শিক্ষক, পশ্চিম চর আমান উল্যাহ সপ্রাবি ৫। মোঃ মাঈন উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, মধ্য জাহাজমারা সপ্রাবি ৬। মোঃ নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, চরকিং জাহান আরা সপ্রাবি ৭। আবুল হোসেন ,প্রধান শিক্ষক, কে এ হোসেন সপ্রাবি ৮। বিক্রম চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক ,লক্ষিদিয়া সপ্রাবি ৯। মোঃ নবীর উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ পশ্চিম চরঈশ্বর রায় সপ্রাবি ১০। রিংকু দাস ,প্রধান শিক্ষক, চরকিং ইউনিয়ন সপ্রাবি । এছাড়া কাক্ষিত অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নোয়াখালীর সব কটি উপজেলায় বিধিবহিভর্’তভাবে কেবল মাত্র স্নাতক ডিগ্রীধারী হয়ে কোন ধরণের এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে/ সরকারি বিদ্যালয়ের ৩ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে সরাসরি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১২ সালে এমপিও ভুক্তির সুবাধে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল সার্কুলার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগবিধিমালা ১৯৯১ এর সরাসরি লঙ্গন করে প্রধান শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার গোলাম মাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো ঃ জয়নুল আবেদীন ২০১০ সালে পূবূবর্তী ঐ বিদ্যালয়ের মৃত্যুজনীত পদে পদোন্নতি নেয়ার পরেও তিনি তথ্য গোপন করে যোগদানের প্রথম থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেব করে ইতোমধ্যে ২ টি টাইমস্কেল নিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের স্কেলে। এক দিকে নোয়াখালী র সকল উপজেলায় অবৈধ প্রধান শিক্ষকের ছড়াছড়ি অপরদিকে সেই প্রধান শিক্ষকরাসহ প্রায় ৩০০ প্রধান শিক্ষক বিধি বহির্ভুতভাবে ২/৩ টি টাইমস্কেল প্রধান শিক্ষক হিসবে গ্রহন করায় প্রতি মাসে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট হচ্ছে পাশাপাশি সাবেক সরকারি শিক্ষকগণেরা সদ্য জাতীকরণকৃত প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে বেতন ভাতা কম পাওয়ায় ক্ষোভ ও অস্থিরতা তৈরী হচ্ছে।
গত ৩০ জুলাই সুবর্ণচর উপজেলার অবৈধ প্রধান শিক্ষক নিয়ে সর্বাধিক পঠিতব্য অনলাইন পত্রিকা শিক্ষা বার্তা ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও এ সংক্রান্ত কোন তদন্ত ও ব্যবস্থা না হওয়ায় জনে মনে ক্ষোভের সৃষ্টি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
সদ্য জাতীয়করণকৃত অনেক প্রধান শিক্ষক শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে গিয়ে পরবর্তী সময়ে সেই সনদের সুবিধাও নিয়েছেন। যাহা আইনত অগ্রাহ্য ।
এ ব্যাপারে অবিযুক্ত শিক্ষকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা কথা বলতে রাজী হননি।
এ ক্ষেত্রে সনদও বাতিল ,চাকুরিও বাতিল এখন পর্যন্ত সেই বিধিতেই দেশের কার্যক্রম চরছে। তাই সকলের প্রত্যাশা করছে পুরো জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকদেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির তারিখ উল্লেখিত বাধ্যতামূলক প্রথমিক শিক্ষা ,ইউনিট ঢাকা কর্র্তক প্রদেয় স্বস্ব নামের পত্রটি, সনদপত্রসহ নিয়োগপত্র গুলো যাছাইয়ের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে বলে সচেতন মহল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ।