নোট-গাইড বইয়ের সমালোচক শিক্ষাবিদ, বৃদ্ধিজীবী ও প্রতিষ্ঠানের বই না ছাপানোর হুমকি দিয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এ হুমকি দেন।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ এর কয়েকটি উপধারা সংশোধনের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেকচার প্রকাশনির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমিতির সহ-সভাপতি শরীফুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের লেখা বই প্রকাশ, ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধ করে দিবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির নেতারা। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে ২৬ ডিসেম্বর সকল জেলায় বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন এবং ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর টানা দুইদিন দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শরীফুল আলম বলেন, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে, তারাও সহায়ক বইকে নোট বা গাইড বই স্বীকার করেননি। বিষয়টি বোঝার পরও ইদানিং তারা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কারণে সরকার প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের কয়েকটি উপধারা পরিবর্তন করতে চায় বলে জেনেছি।
তিনি বলেন, দাবির প্রতি সংহতি রেখেই সম্প্রতি শিক্ষা আইন ২০১৬ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু একশ্রেণির বুদ্ধিজীবির চাপে সরকার পুনরায় প্রকাশকদের সহায়ক গ্রন্থ প্রকাশের এনটিসিবি অনুমোদনের বাধ্যবাদকতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা রেখেই শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা আবার আন্দোলনে নামছি।
সহায়তা বইয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যেখানে ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভরশীল সেখানে এ বই ব্যতীত শিক্ষাব্যবস্থা কল্পনা করা যায় না।
সমিতির নেতারা বলেন, এনসিটিবির অনুমোদন নিয়ে সহায়ক বই প্রকাশ করা হলে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়বে। এছাড়া সহায়ক বই হিসেবে এতো বই প্রকাশ হয়, যা এনসিটিবির পক্ষে দেখাও সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন, পরিচালক এস এম লুৎফর রহমান প্রমূখ।