ডেস্ক,১০এপ্রিলঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ প্রকাশ হবার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধে ্য নানা মত দেখা দিয়েছে।ফেসবুকের শালিক আহমেদের পোষ্ট থেকে হুবুহ তুলে ধরা হল।
উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা কোন পথে !!!!!!!!!
প্রধান শিক্ষক পদটি যখন ৩য় শ্রেণি ছিল তখন এ পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল স্নাতকোত্তর /মাষ্টার্স পাশ। পদ ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হলো কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা সিম্পল ডিগ্রীতে নেমে গেল !!!!!!!!!!
প্রাথমিক শিক্ষা ৫ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত হল কিন্তু নতুন নিয়োগ বিধি ২০১৯ এ -এ পদে প্রবেশ যোগ্যতা চাওয়া হল স্নাতক।
যখন ছিলো কেবলই শতভাগ ভর্তি আর সবার জন্য শিক্ষা,তখন ছিল সহ.শিক্ষক এসএসসি/ডিগ্রি এবং প্রশি স্নাতকোত্তর।
কিন্তু আজ যখন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার, ঠিক তখনই সহ.শি. যোগ্যতা ডিগ্রীতে উন্নীত করলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগ্যতা স্নাতকোত্তর (মাষ্টার্স) থেকে পিছিয়ে করা হলো স্নাতক। তাহলে ডিপার্টমেন্ট সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নাকি পিছিয়ে যাচ্ছে??? আদৌ কি দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করার সদিচ্ছা আছে, নাকি ফাঁকাবুলি??? আদৌ সুষ্ঠু পরিকল্পনা কিংবা SWOT এনালাইসিসের মাধ্যমে টেকসই বিধিমালা প্রণীত হয়েছে নাকি প্রশিদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা, বাইনেইম গেজেট এবং পদোন্নতিসহ ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে পুর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার কোন দুরভিসন্ধিপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে???????? এই বিধিমালা সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পাবে নাকি প্রশ্নবিদ্ধ হবে ? এর কারণ কি? তা বোধগম্য নয়!!! বাংলাদেশের অন্য কোন ডিপার্টমেন্টে নতুন নিয়োগবিধিমালা প্রণয়নের সাথে যোগ্যতা পিছিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আছে কিনা জানা নেই! তাছাড়া, আরো ৫/৭ বছর পর সহকারী শিক্ষকদের সরাসরি নিয়োগ যোগ্যতা মাষ্টার্সে উন্নীত করার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে পক্ষান্তরে, প্রধান শিক্ষক সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ-মাধ্যমিকে নামিয়ে আনে কিনা, এমন ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই!!!!! প্রশ্নগুলোর জবাব দেবে কে? বিজ্ঞজনের মতামত আশা করছি।