২৮তম বিসিএস থেকে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত নিয়োগবঞ্চিত ২৫৯ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৮তম হতে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে এ প্রজ্ঞাপনের বর্ণিত ২৫৯ (দুইশত উনষাট) জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুসারে টাকা ২২০০০- ৫৩০৬০/- বেতনক্রমে নিম্নবর্ণিত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
তাঁকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে; উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাঁকে তাঁর চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেৰুপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে; তাঁকে ০২ (দুই) বছর শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করতে হবে।
শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাঁকে চাকরি হতে অপসারণ করা যাবে; উপানুচ্ছেদ (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণ সাফল্যের সাথে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।
নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
উপানুচ্ছেদ (*)-এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাঁকে একজন জামানতসারসহ ৩০০/- (তিনশত) টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার ০৩ (তিন) বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাঁকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে উত্তোলিত ভাতাদি ও তাঁর প্রশিক্ষণের জন্য দ্বায়িত সদর অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন।
প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল হতে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট এ বন্ড দাখিল করে তাঁকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে; তাঁর ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পূর্বে যদি তিনি তাঁর কর্তব্য-কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে উপানুচ্ছেদ (ও) অনুযায়ী তাঁর নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় __অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এ্যাক্ট, ১৯১৩ এর বিধান অনুসারে আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে:
সরকারি কর্ম কমিশনের মেধাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হয় বিধায় এ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তগণের জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে তাদের ব্যাচের নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথম যে তারিখে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল সেই তারিখ হতে ভূতাপেক্ষিকভাবে নিয়োগ আদেশ কার্যকর হবে। তাদের মূল ব্যাচের যোগদানের তারিখ থেকে তাঁদের ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা বজায় থাকবে। তবে তার ফলে তাঁরা কোনো বকেয়া আর্থিক সুবাধাদি প্রাপ্য হবেন না।
এ প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি, এরূপ ক্ষেত্রে তাঁর চাকরির সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান ও আদেশ প্রযোজ্য হবে এবং সরকার কর্তৃক ভবিষ্যতে প্রণীতক বিধি-বিধান ও আদেশ অনুসারে তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে; The Government Servants (Conduct) Rules, ১৯৭৯ এর ১৩(১) উপবিধি অনুযায়ী তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন দখলে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র তাঁকে চাকরিতে যোগদানের সময় সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিক্ষেপকারী মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ১৩ (২) উপবিধি অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বর মাসে প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ে জমা নিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোন ভ্রমণ ভাতা/দৈনিক ভাতা পাবেন না।