নিবন্ধন সনদ জাল করে শিক্ষকতা, শিক্ষিকার এমপিও বাতিল

Image

বগুড়া প্রতিনিধি,৫ মে ২০২৩:  শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল করে শিক্ষকতা করছিলেন রাউফুন নাহার। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: চাঁদপুরে প্রধান শিক্ষকের এমপিও বাতিল

জাল সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এমপিওভুক্তও হয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে ধরা পড়েছেন তিনি। তার এমপিও বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আট বছরের বেশি সময় ধরে ওই শিক্ষকের নেয়া বেতনের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা নেয়ার ব্যবস্থা করতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। জাল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা করতে বলা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে।

সম্প্রতি জাল সনদে কর্মরত থাকা ট্রেড ইন্সট্রাক্টর রাউফুন নাহারের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ করা হয়।

গত ৩০ এপ্রিল কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে, শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষাক্রমে কর্মরত ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং) মোছা. রাউফুন নাহার এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে বেতন উত্তোলন করার কারণে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল এবং ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেতন ভাতা বাবদ নেয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে বিভাগকে জানাতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রাউফুন নাহারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, শিক্ষিকা রাউফুন নাহারের এমপিও বন্ধের নির্দেশের বিষয়ে আমরা জেনেছি। তবে, এ সংক্রান্ত একটি রিট চলমান আছে।

জানা গেছে, মো. ইউসুফ আলী জাল সনদধারী শিক্ষক রাউফুন নাহারের নিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছিলেন। জাল সনদ নিয়ে রাউফুন নাহার কিভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ পেলেন জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ২০১৪ সালে সনদ যাচাই করা এখনকার মতো সহজ ছিলো না। তাই না বুঝেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার ওই সনদ দিয়ে এমপিওভুক্তিও হয়েছে। অধিদপ্তরও বুঝতে পারেনি তার সনদ জাল। তবে, তার বেতনভাতা বন্ধের ব্যবস্থা আমরা করেছি।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জাল সনদধারী ট্রেড ইন্সট্রাক্টর রাউফুন নাহার কাছে দাবি করেন, একজন ভুল করে অভিযোগ দিয়েছে তাই আমার সনদ জাল বলা হচ্ছে। তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সঠিক বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে রিট করেছি। এ সংক্রান্ত কাগজও মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।