সামাজিক কারণেই আমাদের দেশের নারীরা নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন নন। আজও বহু নারী নিজের লজ্জাস্থানে কোন অসুখ হলে সেটিকে লুকিয়ে রাখেন এবং তিল তিল করে নিজেকে ঠেলে দেন বড় একটি অসুখ কিংবা মৃত্যুর দিকে! ঠিক তেমনই একটি অসুখ হচ্ছে গোপন অঙ্গে ইনফেকশন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী বুঝতেও পারেন না যে তিনি এই রোগটির শিকার। লজ্জা নয়, সচেতনতা জরুরী। চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই নারীর সেই অসুখটির কথা যেটা আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও চিকিৎসা করানো খুবই জরুরী!
আপনার যোনির চারপাশে কি চুলকায় প্রায়ই? অস্বস্তি হয়, আশেপাশের চামড়া লাল হয়ে যায়? গোপন স্থানটি থেকে দুর্গন্ধ আসে, অস্বস্তিকর সাদা স্রাব হয় বা প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া করে? এই সবই হতে পারে Vaginitis এর লক্ষণ। ভয় পাবেন না, এই রোগটি পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন নারীর হয়ে থাকে প্রতিবছর। তবে হ্যাঁ, এর উপযুক্ত চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরী।
Vaginitis এর লক্ষণ
অনেক নারীর ক্ষেত্রেই তেমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না বা অনেকের আবার মৃদু লক্ষণ থাকে। নিয়মিত গাইনির ডাক্তার দিয়ে চেকাপ করালে এই অসুখটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে-
- -গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়া বা দুর্গন্ধ যুক্ত সাদা স্রাব হওয়া
- -প্রস্রাবের জন্য জ্বালা পোড়া করা ও ব্যথা হওয়া
- -যোনির চারপাশে চুলকানি ও অস্বস্তি
- -অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত
- -যৌন মিলনের সময় অস্বস্তি
- -যোনির চারপাশের ত্বকে লাল র্যাশ হওয়া বা চামড়া লাল হয়ে যাওয়া
এই লক্ষণগুলোর যে কোনটি দেখা গেলেই অবিলম্বে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যান্য লক্ষণ দেখা না গেলেও দুর্গন্ধ প চুলকানি খুবই সাদারন সমস্যা। তাই এই সমস্যা গুলো নিজের মাঝে দেখলে লজ্জা না করে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
Vaginitis হতে দূরে থাকতে যা করতে পারেন
প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ জরুরী। Vaginitis হতে দূরে থাকতে প্রত্যেক নারী যা করতে পারেন, সেগুলো হচ্ছে-
- -পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন। Vaginitis হতে নিরাপরদ থাকতে এটি অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন যোনি ও এর আশেপাশের এলাকা হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
- -আপনার ত্বকে অস্বস্তি হয় এমন যে কোন পণ্য ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
- -এক অন্তর্বাস বেশিক্ষণ ব্যবহার করবেন না।
- – স্পর্শ কাতর এই অঙ্গ পরিষ্কারের জন্য বিশেষ ধরনের সাবান জাতীয় পণ্য পাওয়া যায়, সম্ভব হলে সেগুলো ব্যবহার করুন।
- চিকিৎসা: এক্ষেত্রে একজন বিশসজ্ঞ ডাঃএর শরনাপন্ন হতে হবে। হোমিও চিকিৎসা নিলে রোগটি চিরতরে নির্মূল হয়।
ডাঃ এস কে দাস
এমএসসি,ডিএইসএমএস
01557631097