নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে শঙ্কা

Image

ডেস্ক,১৬ নভেম্বর ২০২২:

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি নভেম্বর মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর পদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আগামী সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করে তা এনটিআরসিএতে পাঠানো হবে। এর পর মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে নভেম্বরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা কম।

আরো পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ৪ হাজারের বেশি শিক্ষক

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের পর প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে নানা সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যাগুলো দূর করতে এবার প্রাপ্ত শূন্য পদের তথ্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। এতে করে নিয়োগের পর প্রার্থীদের যোগদান কিংবা এমপিওভুক্তিতে কোনো সমস্যা হলে এর জন্য অধিদপ্তর দায়ী থাকবে। সেজন্য এবার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, তিনটি অধিদপ্তর মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাই হয়ে এসেছে। এর মধ্যে মাদ্রাসার ৩৭ হাজার ৫০০, কারিগরির ২ হাজার ৯৬ এবং মাউশির শূন্য পদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৬টি। তবে মাউশির আরও ৩ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজ আগামী সপ্তাহে শেষ হলে তারা প্রাপ্ত তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখায় পাঠাবেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম নভেম্বরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা এখনো ৩ হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এটি আগামী সপ্তাহে আসলে এরপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় তালিকা দেখার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়া কতদিনে সম্পন্ন হবে সেটি বলা মুশকিল।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শূন্য পদের তথ্য যাচাই শেষে আগামী সপ্তাহে এনটিআরসিএতে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, দেশের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো মাউশি থেকে পাঠদানের অনুমতি নিয়েছে। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কারিগরি শাখা চালু করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কারিগরি শাখা চালু রয়েছে সেগুলো কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে যাবে। আর কারিগরি শাখা না থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদ মাউশিতে থাকবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, এনটিআরসিএ দুটি সিডির মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য মাউশিতে পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম সিডির তথ্য যাচাই করে তা এনটিআরসিএতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যাচাইকৃত শূন্য পদের তথ্য এনটিআরসিএতে জমা দেওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে ২৯ হাজার ৫৬টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কলেজ পর্যায়ের পদ সংখ্যা ২ হাজার ৮০৭টি। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শূন্য পদের সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৯টি। আগামী সপ্তাহে অবশিষ্ট তিন হাজার শূন্য পদের তথ্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিজ দপ্তরে বলেন, শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি যেন নভেম্বরেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারি।

শূন্য পদের তথ্যের সংখ্যা যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান। ফলে যেই কাজই করিনা কেন তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হয়। এটি আমাদের রেগুলার প্রসেস।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।