আগামী দশকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চারটি বিষয়ে কর্মসংস্থান দ্বিগুণেরও বেশি হারে বাড়বে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত। বাংলাদেশে এসব বিষয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ দ্রুত বাড়ছে।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস (স্টেম) বিজনেস কেস প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে– লাইটক্যাসল পার্টনার্স, ১০ মিনিট স্কুল, এ টু আই, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও ডেভলার্ন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- বাংলাদেশে এসব বিষয়ে নারীদের প্রবেশগম্যতা পুরুষের তুলনায় কম। নারীদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ১৪ শতাংশ। এটি জেন্ডার বৈষম্যের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের বৈষম্যকেও নির্দেশ করে। শি-স্টেম প্রকল্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর জরিপ করা হয়। এতে শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও অ্যালামনাই সদস্যরা ছিলেন।
আরো পড়ুন: ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আজ
এ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন। বক্তব্য দেন- নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট উপদেষ্টা অসিম রহমান, বুয়েট অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন, গ্রামীণফোন একাডেমির লিড ফারহানা হোসেন শাম্মু, লাইটক্যাসল পাটনার্সের সিইও বিজন ইসলাম প্রমুখ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি এখন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। এ দৃষ্টিভঙ্গি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে নয়, একটি স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তোলার বিষয়ে প্রত্যেক নাগরিক, বিশেষ করে নারীরা বড় ভূমিকা পালন করে। নারী যদি এ খাতে পিছিয়ে থাকে, তাহলে প্রযুক্তির এ যুগে দেশ পুরোপুরি উন্নত হবে না।