স্কুলে শিক্ষকদের আসতে দেরি করার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল আর সরকারি বিদ্যালয় হলে তো কথা নেই কোনো। এসব জায়গায় দেরিতে আসাটাই যেন নিয়ম। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। দেরিতে স্কুলে আসায় শিক্ষিকাকে পিটিয়েছেন নারী অধ্যক্ষ। শনিবার (০৪ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলশিক্ষিকাকে মারধরের এ ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষিকার নাম গুঞ্জন চৌধুরী। অধ্যক্ষ কেবল তাকে লাঞ্ছিত করেননি বরং চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে কাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, চেয়ারে বসে থাকা নারী শিক্ষিকার সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে তার দিকে তেড়ে যান অধ্যক্ষ। এ সময় তিনি তার জামা টেনে ধরে চড়-থাপ্পড় দেন। একে অপরের জামা ধরে টানাটানিও করেন। এমন সময় অধ্যক্ষের গাড়িচালক তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। পরে তাদের মধ্যে লড়াই থেকে আবার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় অধ্যক্ষের গাড়িচালক ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
A Principal in Agra beat up a teacher this bad just because she came late to the school. Just look at her facial expressions. She's a PRINCIPAL 😭 @agrapolice pic.twitter.com/db8sKvnNvs
— Deepika Narayan Bhardwaj (@DeepikaBhardwaj) May 3, 2024
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওধারণকারী ব্যক্তিকে তখন বলতে শোনা যায় যে, ম্যাডাম আপনি অভদ্র আচরণ করছেন। এমন আচরণ কি আপনার সঙ্গে মানায়? ভিডিওতে অধ্যক্ষের মারধরে ওই শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুই শিক্ষিকা ছুটির সময় আবার উত্তেজনায় জড়ান। এ সময় একে অপরকে বেহায়া বলে গালি দেন। স্কুলের অধ্যক্ষের অভিযোগ, ওই নারী শিক্ষিকা দেরিতে স্কুলে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষিকার সঙ্গে হাতাহাতির একপর্যায়ে অধ্যক্ষ ও ওই নারী শিক্ষিকা অশ্লীল ভাষায় গালাগালও করেন। এটি স্কুল বা পেশার সঙ্গে বেমানান।
হাতাহাতির সময় ওই নারী শিক্ষিকা বলেন, সাহস থাকলে আমাকে মারুন। আপনি এবং আপনার ড্রাইভার কি করবেন। এ সময় অধ্যক্ষ বলেন, ‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইয়াহা।’