নিজস্ব প্রতিবেদক,১৩জুলাই ২০১৯: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এদেশে প্রচীনকাল থেকেই নানা ধর্ম -বর্নের মানুষ এক সাথে বসবাস করে আসছে। এ জন্যই বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। এদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রে তাদের ধর্মানুষ্ঠান পালন করেন। স্বাধীনতার পর এদেশের মুলমত্র ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সকলের সম অধিকার।
দূর্গা পুজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান। প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দূর্গা পুজার ছুটি ৭ থেকে ১০ দিন করা হয়। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠী থেকে দশমি দূর্গা পুজার আনন্দ উপভোগ করে। কিন্তু এ বছর অষ্টমী থেকে ছুটি দেয়া হয় দশমী পর্যন্ত মোট ৩দিন ছুটি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রঞ্জিত ভট্রাচার্য মনি বলেন, তার চাকুরিকালের এটি প্রথম এমন ঘটনা। কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দূর্গাপুজার ছুটি ৩ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন করার পূর্ননির্ধারনের দাবী জানান।
এদিকে ফেসবুকে এনড্রু রয়েল নামের একজন লিখেছেন,অন্যান্য বছর যেখানে ১০ থেকে ১৫ দিন ছুটি পাওয়া যেত সেখানে ২০১৯ সালে মাত্র ৩ দিন। সরকারের কাছে ছুটি বাড়ানোর অনুরোধ জানাই।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন বলেন দূর্গা পুজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে ৩দিনের পরিবর্তে কমপক্ষে ৭দিন ছুটি ছুটি ঘোষনার দাবী জানান।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা আসন্ন দূর্গা পুজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান। দূর্গাপূজাই এক মাত্র সার্বজনীন অনুষ্ঠান যেখানে সকল ধর্ম-বর্নের মানুষ ৫ দিন ব্যপি অনুষ্ঠান পালন করেন। হিন্দুরা ধর্মিয় দিক থেকে এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যগরিষ্ঠ জাতি। সুতরাং এই বৃহৎ অনুষ্ঠানটিতে কমপক্ষে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক।