নারী সহকর্মীকে যৌন হেনস্তা, যথাসময়ে স্কুলে উপস্থিত না হওয়া, ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত, দেরিতে স্কুলে আসাসহ নানান অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৯জন প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। একই সঙ্গে নানান অভিযোগের কারণে শতাধিক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৭টি।
আরো পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেতিবাচক নাম পরিবর্তন শুরু
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৭ জুলাই উপজেলার আবিরের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে মাত্র একজন সহকারী শিক্ষককে উপস্থিত পান শিক্ষা কর্মকর্তা। স্কুলের কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে খেলাধুলায় মগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী, সহকারী শিক্ষক এজাজুল হক, নাসরিন খাতুন, পুষ্পআরা এবং কেয়ারা কিস্কুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ আগস্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সুপারিশ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
এছাড়াও উপজেলার বাঁশমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ জেড এম রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের নারী সহকারী শিক্ষককে উত্ত্যক্ত করা এবং মোবাইলে অশ্লীল খুদেবার্তা পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। তদন্তে এসব ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই মন্ডল। পরে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এ জেড এম রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া, কুলানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈদড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারপাইকেরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলওয়া আদিবাসী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নানা অনিয়মের কারণে তাদের দেওয়া হয়েছে শোকজ কিংবা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ।
ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আকস্মিক পরিদর্শনে গেলেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়া এবং ঠিকমতো পাঠদান না করানোর প্রমাণ মিলছে। অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর।