দামুড়হুদায় ত্রৈবার্ষিক স্কাউটস সম্মোলনে হযবরল অবস্থা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: জেলার দামুড়হুদা উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কাউটস এর ত্রৈবার্ষিক সম্মোলনে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার বিতরনকে কেন্দ্র করে এ হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার স্কাউট এর ত্রৈবার্ষিক সম্মোলনের আজ নির্ধারিত তারিখ ঘোষনা ছিল। স্কাউট অর্থ শান্তি এবং শৃঙ্খলা । এই শান্তি এবং শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করে সকাল সাড়ে ১০টার অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুর ১২টায়। যে প্রতিষ্ঠান নিয়ম শৃঙ্খলা শেখায় সেই প্রতিষ্ঠানের এহেন বিশৃঙ্খলা দেখে হতাশ হয় সাধারন শিক্ষকরা। পরে দুপুরের খাবার দেবার কথা ২টায় থাকলেও সেই খাবার আসে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে। যেখানে ৩০০ জন শিক্ষকের নিয়ে অনুষ্ঠান সেখানে মাত্র ৪০ জন শিক্ষকের খাবার আসে। এতে সাধারন শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে অনেকেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

হাসানুজ্জামান বিটন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারি লিখেছেন অনেক আগ্রহ নিয়ে দামুড়হুদা গিয়েছিলাম দামুড়হুদা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মোলনে। নতুন কমিটি হবে,সবার সাথে দেখা হবে, কমিটি গঠন হবে ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখজনক তাদের অব্যবস্থাপনা দেখে। সত্যিই হতাশ, নেই কোন পরিকল্পনার ছাপ। কমিটিতে কারা থাকবে তাও আগে থেকে ঠিক করা। খাবার পরিবেশনে নেই কোন পরিকল্পনা। কুকুর শিয়াল যেভাবে খাবারের জন্য কাড়াকাড়ি করে ঠিক তেমন অবস্থা। এইসক অনিয়মের পরিবর্তন হওয়া দরকার । দক্ষ সংগঠক ছাড়া কোন কার্যক্রম সঠিকভাবে চলতে পারে না।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্যবস্থাপনায় ব্যপক গাফিলতি থাকার দরুন এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। খাবারের বিশৃঙ্খলনা দেখে বেশিরভাগ শিক্ষক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির দামুড়হুদা উপজেলা শাখার আহবায়ক হারুন অর রশিদ জুয়েল বলেন বেশিরভাগ শিক্ষক খাবার না পেয়ে হট্রগোল বাধালে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষকরা স্থান ত্যাগ করে।

স্কাউট কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, খাবার আসতে দেরি হওয়ায় এ ঘটনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালামকে বারবার টেলিফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।