হচ্ছে না জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলায় কর্মরত ইপিআই কর্মীদের প্রতি জন্ম নিবন্ধনের কাজে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাজের গাফিলতির কারণে তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে প্রতিটি ইউনিয়নেই জন্ম বা মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্যে দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীমহল।
জানা গেছে, দেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এ শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের বিধান রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন আইনের (১) (ঘ) ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যানকর্মীদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবেও শিশুর সঠিক জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। ইপিআইকর্মী কর্তৃক নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহের আলোকে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা সদর ইউপি সচিব শাহাবুবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী এ সংক্রান্তে পরিপত্র জারি করে গত ১ জুলাই একটি পত্র প্রেরণ করেছেন। জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে- শিশুর ইপিআই কার্ড ও ইপিআই রেজিস্ট্রারে শিশুর জন্মনিবন্ধন নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক করার মধ্যদিয়ে প্রথম ডোজটির দিনে জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে অনলাইনে বা হাতে লিখে ইপিআই কর্মীগণ শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র তৈরিতে সহায়তা করবে। একইভাবে ২য় ডোজের দিনেও শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিবন্ধককে অবহিত করবেন এবং ইপিআই কর্মসূচি পূর্ণাঙ্গভাবে সফটওয়্যারভিত্তিক জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।