স্টাফ রিপোর্টারঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কেরু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবৈধ কোচিং বানিজ্য চলাকালিন সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এর যৌথ অভিযানে ৯ জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
জানাগেছে, গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পযর্ন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দু’টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে স্বিকারোক্তি মূলক জবান বন্ধীতে বলে তাদের নিকট থেকে শিক্ষকরা মাসে ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। প্রায় শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলক কোচিং করিয়ে আসছেন।
আরোও জানা গেছে, এ ধরনের তথ্য পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা মো: জসিম উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই উপ-পরিচালক আবু জাফর ইকবাল ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্যাট পাপিয়া আক্তার, ইফাত আরা জামান উম্মি, চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান যৌথ ভাবে অবৈধ কোচিং বানিজ্য’র বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। প্রথমে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে চারটি আলাদা কক্ষে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০০ ছাত্রীদের কোচিং ক্লাস করানো হচ্ছিল। এ সময় ছাত্রীদের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে জবান বন্দি নেওয়া হয়।
পরে দর্শনার কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে যেয়ে দেখেন স্কুলে ক্লাস চলছে এরকম পরিবেশ। প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অবৈধ কোচিং চালাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে কারোক্তি মূলক জবানবন্ধী নেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম পর্যন্ত মাসে ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা কোচিং ফি নেয় শিক্ষকেরা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা মো: জসিম উদ্দিন বলেন, অবৈধ কোচিং করানোর দায়ে দর্শনা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম হুমায়ন কবির, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসমত আলী, সহকারী শিক্ষকা নাসরিন আক্তার শিলু, সহকারি শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং দর্শনা কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইকবাল রেজা, আশরাফ হোসেন, স্নেহময় বসাক নান্টু, ফারুক হোসেন, আসমা খাতুন। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে শোকজ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা সহ শিক্ষা মন্ত্রানলয়ে অভিযোগ করা হবে।