হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। যা গত ৫৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে প্রবল বর্ষণ ও প্রলংঙ্কারী এ বন্যার কোনও আগাম পূর্বাভাস ছিল না। গত ১৮ আগস্ট শুধু নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কথা বলেছিল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এমন পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। এগিয়ে আসছে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষসহ শোভিজ অঙ্গন।
পিছিয়ে নেয় চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরও। যে যেভাবে পারছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এদিকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করেছিলেন। এবার বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের জন্য প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। একটি টিম নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধারে গেছেন।
রুকাইয়া জাহান চমক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যায়, ‘গ্রামের অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে হয়েছে তার টিমের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সেসব ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ এইটা শুধুমাত্র একটা গান না, এইটা জাতিগতভাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রতিবাদী আমরা বিপ্লবী আমরা হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা।’
এ অভিনেত্রী বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি উল্লেখ করে লিখেছেন, যেকোনো দুর্যোগ, হোক সেটা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট আমরা সেটাকে বুক পেতে হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি ।
ক্যাপশনের শেষে চমকের ভাষ্য, পৃথিবীর যত বড়ো পরাশক্তিই হোক না কেন , আমাদের ভাসিয়ে দেয়া উজাড় করে দেয়া , নিশ্চিহ্ন করে দেয়া এত সহজ না! কারণ আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি। তাই আপাতত চোখের সামনে অনেক গুলো হাসিমুখ দেখছি, যারা সারাদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করে , দুটো শুকনো টোস্ট আর গুড় খেয়েও প্রাণ খুলে হাসছে , আর প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের যুদ্ধের জন্য। গানটি বার বার বুকে এসে বাঁধছে ‘তোমার ভয় নেই মা , আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’