তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাদ

ডেস্ক,৫ মার্চঃ
আগামী বছর থেকেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না। এই স্তরের কোনো শিশুকে আর আনুষ্ঠানিক পরীক্ষায় বসতে হবে না। তবে এই তিন শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি যাচাই করা হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চলতি বছর দেশের ১০০টি স্কুলে এই কার্যক্রম পাইলটিং করা হচ্ছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয় তা হলো সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতি। নির্দিষ্ট সময় শেষে এই মূল্যায়ন হয়। আগামী বছর থেকে সেটা ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাবে। প্রতিদিন পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কাজ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিশুদের মূল্যায়ন করবেন যে, ঐ পাঠের বিষয়বস্তু শিশু বুঝেছে কি না। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীর ‘শিখন যোগ্যতা’ মূল্যায়ন করে শিক্ষক তার ডায়রিতে লিখে রাখবেন। প্রতি তিন মাস পর শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে একটি ‘গ্রেড’ দেবেন। এভাবে বছরে তিনটি মূল্যায়নের সমন্বয় করে শিশু পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতি পাবে।

আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা পরিবর্তে যে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে তা হলো—শ্রেণিশিক্ষক প্রতি মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির মূল্যায়ন রেকর্ড করবেন, প্রতি চার মাস পর রিপোর্ট কার্ড প্রদান করবেন, যাতে অভিভাবকরা তা দেখে সন্তানের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক অর্থাত্ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শোনা, বলা, পড়া, কর্মদক্ষতা ও বিষয় জ্ঞান দেখা হবে। ব্যক্তিগত গুণাবলি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার এবং বিশেষ পারদর্শিতার মূল্যায়ন করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ২০২১ সালে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি মাধ্যমিক সংযুক্ত সরকারি, বেসরকারি এবং এমপিওভুক্ত স্কুলের ক্ষেত্রেও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর অংশ হিসাবে চলতি বছর দেশের ১০০টি স্কুলে এই কার্যক্রম পাইলটিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানান

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।