নিজস্ব প্রতিবেদক,৯ জানুয়ারী :
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ ব্যাংক হিসাবে সরাসরি বেতন-ভাতা পৌঁছে দেবে সরকার। তবে নয়টি তথ্য না দিলে শিক্ষকদের ব্যাংক একাউন্টে বেতন জমা হবে না। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে।
অধিদপ্তরের অফিস আদেশে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও-এর অর্থ জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে পাঠানো হবে।
আদেশে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (মান্থলি পেমেন্টে অর্ডার) -এর অর্থ বিতরণ সহজ করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও -এর অর্থ দেয়ার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যবহৃত ব্যাংক একাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ইতোমধ্যে অনলাইনে এমপিও সিস্টেমে প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও এর অর্থ ইএফটির মাধ্যমে পাঠাতে সঠিক তথ্য প্রয়োজন।
আদেশে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে
১. শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
২. এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম (এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী এমপিওশিট, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম একই রকম হতে হবে)।
৩. যাদের এসএসসি ও সমমানের সনদ নেই, তাদের সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (এমপিওশিট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম একই রকম থাকতে হবে)।
৪. ব্যাংক হিসাবের নাম শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নামে থাকতে হবে।
৫. ব্যাংকের নাম, শাখার নাম ও রাউটিং নম্বর।
৬. শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব নম্বর (অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৩ থেকে ১৭ ডিজিট)।
৭. শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্ম তারিখ।
৮. শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কোড ও বেতন কোডের ধাপ।
৯. শিক্ষক কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর।
এসব তথ্য সঠিক না থাকলে ইএফটি– এর মাধ্যমে পাঠানো এমপিও– এর অর্থ শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে না। উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে অনলাইনে সংগ্রহের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিগগিরই ইএমআইএস (ইলেক্ট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সফটওয়ারের লিংকসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে