ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবনে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে বলে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী জানান।

রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, এবার ভোটার ছিলেন মোট দুই হাজার ১০ জন। গণনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরী পরিষদের ১৫টি পদে এ নির্বাচনে বরাবরের মতই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বামপন্থি শিক্ষকদের গোলাপী দল গতবছর আলাদা প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিলেও এবার তারা প্রার্থী দেয়নি।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাব চত্বর এলাকা সকাল থেকেই শিক্ষকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তোরণ পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার দুইধারে ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের গাড়ির ভিড় দেখা যায়।

শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এবারও আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

DU techers election 1

আর বিএনপি সমর্থক সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের  অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।

নীল দলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক মাকসুদ কামাল মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য।

সাদা দলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম সিনেট সদস্য। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য।

গত কয়েক বছর ধরে এই শিক্ষক সমিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেল জয়ী হয়ে আসছে। তার আগে টানা কয়েকবার বিএনপি সমর্থকরা এই সমিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল।

নীল দলের সভাপতি প্রার্থী অধ‌্যাপক মাকসুদ কামাল নিবার্চন চলাকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবেন- এটা প্রত্যাশা করি, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে আমাদের প্যানেল শিক্ষকদের দাবি পূরণে অব্যাহতভাবে অবদান রেখে আসছে।

“২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন সামনে রেখে আমরা যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, তাতে সমর্থন জানিয়ে শিক্ষকরা আমাদের জয়যুক্ত করবে, এটাই আশা করি।”

সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা যদি জিততে পারি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাই, তাহলে শিক্ষক সমিতির ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করব। শিক্ষকদের পেশাগত সুযোগ সুবিধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সচল রাখব।”

তিনি বলেন, “শিক্ষকরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনয় রেখে ভোট দেবেন এবং আমাদের বিজয়ী করবেন বলেই আমরা আশা রাখি।”

নীল প্যানেলের প্রার্থী

সহ-সভাপতি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. ইমদাদুল হক; যুগ্ম-সম্পাদক  ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী; কোষাধ্যক্ষ একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন  আহমেদ।

সদস্য প্রার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক  চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জিনাত হুদা, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ, লেদার এন্ড টেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিউটিটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ, ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান,খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন  অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান,ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুদ্দিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে।

সাদা প্যানেলের প্রার্থী

সহ-সভাপতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, যুগ্ম-সম্পাদক ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মো. আসলাম হোসেন; কোষাধ্যক্ষ মার্কেটিং বিভাগ অধ্যাপক  এ বি এম শহিদুল ইসলাম।

সদস্য প্রার্থীরা হলেন- প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়ারুল কবীর, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, পালি ও বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন, জিন প্রকৌশল  ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মাদ নাজমুল আহসান, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের মো. ইসরাফিল প্রাং , ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।