নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের ওপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এ আদেশের ফলে সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাবির আইনজীবী এফএম মেজবাহ উদ্দিন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন।
রুলে ঢাবির অধ্যাদেশের ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, দুই প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষাসচিবকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো.আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল আলম খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ন কবির, ঢাকার একেএম আতিকুর রহমান এবং ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া।
এর আগে গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাবি অধ্যাদেশের ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য উপাচার্য, ২৯ জুলাই বিকেল ৪টায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম বলেন, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্টে রিট করেন।