রাজিব,ঢাবি সংবাদদাতা : দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি ) প্রতিষ্ঠার ৯৬ বছরে পদার্পণ করছে আজ। এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণ করেছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। বার্নাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।
শোভাযাত্রাটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক । শোভাযাত্রার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল, অনুষদ , বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা কর্মচারী মল চত্ত্বরে জমায়েত হন।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু অবদান আছে। সেগুলো সব অবদান আমরা স্মরণ করি, অনুসরণ করি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অবদান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর সঙ্গে পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা হয় না। শিক্ষা ও গবেষণা এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক কাজ। পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেসব কাজে নিয়োজিত আছে। কিন্তু একই সঙ্গে একটি দেশের স্বাধীনতা একটি দেশের ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে জনগণকে নেতৃত্ব দেওয়া এই কাজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই কাজগুলো করে আসছে।
তিনি বলেন, ধর্মের নামে মানুষকে হত্যা একবিংশ শতাব্দীর মতো সময়ে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। এর জন্য মানবিকতার পরিবর্তন করতে হবে। বতমানে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জঙ্গিবাদ। এই জঙ্গিবাদ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতের মতো এবারও এই সমস্যা মোকাবিলায় সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিতে চায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসে এইবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিক করা হয়েছে ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও মানবিক চেতনা বিকাশে উচ্চশিক্ষা।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা ) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার আয়োজিত দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন এবং সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কার্জন হলে বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, গবেষণার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে দিবস উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে চিত্রকলা প্রদর্শনী চলছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।