ঢাবি প্রতিনিধি, ১৪ অক্টোবর ২০২২:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বৈধ এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ই অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হলের ৫৬২ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে আবাসিক শিক্ষকরা ওই রুমের সামনে এসে দরজা খুলতে বলেন। প্রায় ৪০ মিনিট পর দরজা খোলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে হল প্রশাসন থেকে তার বরাদ্দকৃত কক্ষ থেকে বের করে দেয় ছাত্রলী। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ৫৬২ নম্বর রুমে যান আবাসিক শিক্ষক আইনুল ইসলাম ও মো. ইমাউল হক সরকার (টিটু)। এ সময় তারা শিক্ষক পরিচয় দিয়ে বারবার রুমের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীদের দরজা খুলতে বললেও তারা খোলেননি।
প্রায় ৪০ মিনিটের মতো তারা দরজা বন্ধ করে রাখে। পরে শিক্ষকরা বাইরে থেকে রুমটি তালাবদ্ধ করে দেওয়ার কথা বললে একপর্যায়ে তারা দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। এ সয়ম রুমের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীদের বলতে শোনা যায়, তারা ভয়ে দরজা খোলেনি। পরে শিক্ষকরা অবৈধভাবে রুম দখল করা ছাত্রলীগের কর্মীদের বের করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়।
আরো পড়ুন: দ্রুত ওজন কমায় ভেষজ জিরা পানি
রুমের ভেতরে ছাত্রলীগের ছয়জন কর্মী অবস্থান করছিলেন। তারা হলেন ইংলিশ ফর স্পিকার অফ আদার ল্যাংগুয়েজের আরাফাত হোসেন মাহিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের এনামুল হক পলাশ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মারুফ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শরীফুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিবলী সাদিক, ইসলামিক স্টাডিজের মুনতাসির হোসেন।
তাবা সবাই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের অনুসারী। তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হলের আবাসিক শিক্ষক ও কক্ষ বরাদ্দ বিষয়ক কমিটির আহবায়ক আইনুল ইসলাম বলেন, নিঃসন্দেহে শিক্ষকদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি অপরাধ। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।