বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চান্স পাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই পরীক্ষায় তারা কেউ সন্তোষজনক ফল করতে পারেননি। ঘোষিত মেধা তালিকায় ৫ম হওয়া তাজরীন আহমেদ খান মেধা পাস করলেও অপর শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় ৭৮তম নুর মাহফুজা দৃষ্টি ফেল করেছেন।
টাকার বিনিময়ে এই দুই শিক্ষার্থী সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠায় মৌখিক পরীক্ষার আগে তাদের আবার পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে অনুষদের ডিন অফিসে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়।
ডিন অফিস থেকে জানা যায়, পূর্বের প্রশ্নের অনুরূপ মান ঠিক রেখে নতুন করে প্রণীত বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর। পরীক্ষায় তাজরীন বাংলা বিষয়ে ১৭টি প্রশ্নের উত্তর দেন। এর মধ্যে সঠিক হয় ৯টি এবং ভুল হয় ৮টি। প্রাপ্ত নম্বর ৮ দশমিক ৪। মূল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি বাংলায় পেয়েছিলেন ২৭ নম্বর।
ইংরেজিতে ২৩টি প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এতে সঠিক হয় ১৫টি ও ভুল হয় ৭টি। প্রাপ্ত নম্বর ১৫ দশমিক ৬। মূল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ২৪ নম্বর পান।
নূর মাহফুজা দৃষ্টি বাংলা অংশে ৩০ এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ দশমিক ৬ এবং ইংরেজি অংশে ৩০ এর মধ্যে পায় ১১ দশমিক ৪ নম্বর। এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন, দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় কোনো না কোনোভাবে প্রতারণা করেছে। আরও তদন্ত করা হবে। প্রমাণিত হলে তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ প্রতারণা করে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তিও হয়ে যায় তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে ভর্তি বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় নয় লাখ টাকার বিনিময়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নেন অভিযুক্তরা।