ডেঙ্গু আক্রান্তে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙ্গলো

Image

দেশের সর্বত্রই এখন ডেঙ্গুর আতঙ্ক। দিন যতই যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি। গ্রাম থেকে শহরে সব জায়গায় প্রার্দুভাব ছড়িয়ে পড়ায় মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সোমবারও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৮৫ জনে।

আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন। তাতে এবছরে মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জনে দাঁড়ালো। যা বিগত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ও আক্রান্তের নতুন রেকর্ড। দেশে ২০০০ সালের পর থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং মোট মারা গিয়েছিল ২৮১ জন। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপরে ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৯ জনের মৃত্যু হয় এবং ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এটিই ছিল দেশে যেকোনো বছরে সবচেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলায় হয়, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬০৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল চলতি বছরে ডেঙ্গু-আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪৯ হাজার ২৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ জন। আর চলতি বছরে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন। এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারি মাসে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর জানুয়ারি মাসে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।