নিজস্ব প্রতিবেদক,১৪ ডিসেম্বর:
আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ পাঁচজন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগ তাদের ক্ষমা মঞ্জুর করে আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতি অবমাননার রুল শুনানি করেন।
এর আগে সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। এরপর আদালত তাদের ক্ষমা করে আদেশ দেন।
বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব ছাড়া অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম এবং গাইবান্ধার সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমুল ইসলাম।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম ২০০৮ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়া নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন বিউটি বেগম।
মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। পরে জেলা জজ ও হাইকোর্টেও সে আদেশ বহাল থাকে।
এর বিরুদ্ধে আপিল শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালতও ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও নিয়োগ না পাওয়ায় বিউটি বেগম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।