নিজস্ব প্রতিবেদক,১১ এপ্রিল ২০২৩: ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদের চলতি দায়িত্ব দেয়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ করে উপজেলা রির্সোর্স সেন্টারগুলো। সহকারী ইন্সট্রাক্টররা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সরাসরি তদারকি করেন।
১৬তম গ্রেডে বেতনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদের চলতি দায়িত্ব পেলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ তাদরকির দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু ১১তম গ্রেডে কর্মরত প্রধান শিক্ষক ও ১৩তম গ্রেডে কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা তা মেনে নিতে পারছেন না।
তারা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই তারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদের চলতি দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব বাতিল করে শিক্ষকদের মধ্য থেকে সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদের চলতি দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ দাবি জানিয়ে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহপরিচালককে আবেদন দিয়েছেন তারা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের ২৭ জন নেতার পক্ষ থেকে এ আবেদনটি দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড ও ননগেজেটেড নিয়োগবিধিমালা-২০২১) অনুযায়ী সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদটি ১০ম গ্রেডের ২য় শ্রেণির মর্যাদার পদ। এই পদের ২০% সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এবং ৮০% পদ ফিডার পদ হিসাবে শিক্ষকদের (বিভাগীয় প্রার্থী) জন্য সংরক্ষিত। পক্ষান্তরে থানা/উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদ ১৯৯৮ সালে আইডিয়াল ও নোয়াড় প্রকল্পে সৃষ্ট জাতীয় বেতন স্কেলের ১৬তম গ্রেডের একটি পদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৫-০২-১৯৯২ তারিখে সম বিধি-১/ এস-১১/৯২-৩০ (১৫০) স্মারকের ২(চ) এ উল্লেখ আছে অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের থেকে পদোন্নতির যোগ্যতা বিচার করে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে, ২(ছ) এ আছে অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের থেকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা না গেলে এক ধাপ নিম্ন পদধারী থেকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে, ২ (ছ) (৩) এ বলা হয়েছে, উপরের পদধারী কাউকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অধীন করা যাবে না এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- ০৫,00,0000.130.12.015.22.2৫ তারিখ ২৬ জানুয়ারী ২০২২ এ চলতি দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনাটি অনুসরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদটি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের উর্ধ্বতন পদ । পক্ষান্তরে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদটি কোন ভাবেই অব্যবহিত নিম্ন পদ বা এক ধাপ নিম্ন পদ নয়। তাই, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদেরকে সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- ০৫.00.0000.130.12.015.22.25 তারিখ ২৬ জানুয়ারী ২০২২ এর সাথে সাংঘর্ষিক।
তাছাড়া সহকারী ইন্সট্রাক্টরের কাজ আর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ডাটা এন্ট্রি অপারেটরগণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিবেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নেতা মো: নজরুল ইসলাম, মো. আনোয়ারুল হক তোতা, অজিত পাল, মো. আবুল কাশেম, মো. নুরুজ্জামান আনসারী, শাহিনুর আল আমিন, নূরে আল সিদ্দিকি, শাহিনূর আক্তার, তপন কুমার মন্ডল, আব্দুল হক, টি এম জাকির হোসেনসহ ২৭ জন নেতা। এর আগে গত শনিবার এক সভায় শিক্ষক নেতারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।