ডেস্ক,২৪ এপ্রিল ২০২২ঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা সরবরাহের অন্যতম মাধ্যম ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ রেলওয়ের রয়েছে। দেশের ৬টি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ফাইবার হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। অথচ এমন প্রযুক্তি সেবা থাকা সত্ত্বেও এ প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবা অত্যন্ত নাজুক। ট্রেনের টিকিট কাটতে সাধারণ মানুষের এমন ভোগান্তি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট দেয়ার দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও সমস্যা থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের প্রযুক্তিবান্ধব কোনো আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেননি।
আরো খবরঃ ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরুর ২১ ঘণ্টা আগেই লাইনে!
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সড়কে দুর্ভোগ তখন রেলের ওপর চাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে নতুন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ায় আরও দুর্ভোগ এবং অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং আমাদের পর্যবেক্ষণে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন ফাইবার নেটওয়ার্ক পাওয়া সম্ভব একমাত্র রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। এ প্রতিষ্ঠান ফাইবার অন্যরা ব্যবহার করে মুনাফা করল রেলওয়ে নিজস্ব ব্যবহারে এবং চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন পারছে না তা প্রশ্নদায়ক। তাদের কারিগরি সহায়তার জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এমনকি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দ্রুত সমন্বয় করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবান্ধব সেবা দিতে রেলওয়েকে একীভূত করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। চলমান দুর্ভোগের জন্য বর্তমান সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় কেন আনা হবে না?