শিক্ষার্থীদের আয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম টিউশন। কিন্তু বর্তমানে এ টিউশন পেতেই শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস ছুটছে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় টিউটরদের সহজলভ্যতা কিংবা গ্রামে থাকার কারণে সেখানকার অভিভাবকদের বেশি বেতন দিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর প্রতি উদাসীনতা। তাই জেনে নেয়া যাক অন্যান্য কিছু মাধ্যম যার দ্বারা একজন শিক্ষার্থী আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
অফলাইনে আয় করার মাধ্যম:
১. খণ্ডকালীন চাকরি করে আয়
বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ফ্যাশন হাউজ উৎসব বা মেলায় খন্ডকালীন লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, সেখানে যথেষ্ট কাজ করার সুযোগও থাকে । তাছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টার, এনজিও, কর্পোরেট হাউস বা রিসার্চ ফার্মগুলো মাঝে মাঝে খন্ডকালীন কর্মী নিয়োগ করে, সে সুযোগও কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
২. ছোট ব্যবসা
শিক্ষার্থী অবস্থায় ছোটখাটো অনেক ব্যবসা করা যায় যেমন-টিশার্ট বানানোর, এক্সেসরিজ বিক্রি, ছোট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে আপনি যে এলাকায় আছেন সে এলাকা চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো কিছু নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৩. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করে আয়
যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের দক্ষতা থাকলে ফুড ফেস্টিভ্যাল, কর্পোরেট ইভেন্ট, কালচারাল প্রোগ্রাম ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
৪. রাইডার করে আয়
নিজস্ব বাইক থাকলে পাঠাও, উবার ইত্যাদিতে রাইডার হিসেবে যুক্ত হয়ে বা চুক্তিতেও বেশ ভাল আয় করা যায়। এছাড়াও বাইকে কুরিয়ার এর জিনিসপত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমেও (বাইক মেসেঞ্জারিং) অর্থ আয় করা যায়।
৫. এজেন্ট হওয়া করে আয়
বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কমিশন এজেন্ট নিয়োগ করেন । ছাত্রজীবনে চাইলে এ ধরনের কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।
অনলাইনে যেভাবে আয় করা যায়:
১. ডিজাইন
বর্তমানে বাজারে ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কেউ যদি ভালো ডিজাইনিং পারে তাহলে এ সেক্টরে কাজ করে অর্থ আয় করতে পারে।
২. লেখালেখি করে আয়
ভালো লেখার হাত থাকলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন এবং দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।
৩. অনুবাদ করে আয়
বিদেশি ভাষায় দক্ষতা থাকলে নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টাক্ট, সংবাদ ইত্যাদি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ আয় করা যায়, যা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
৪. ফ্রিল্যান্সিং/ আউটসোর্সিং করে আয়
কম্পোজ, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনিং সহ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সে বিষয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে সহজে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন/ ভিডিও এডিটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এ ভালো দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, বিজ্ঞাপন তৈরি, এনিমেশন ইত্যাদি কাজ করে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
৬. প্রডাক্ট রিভিউ করে আয়
অনলাইনে পণ্য কেনার আগে পণ্যের চাহিদা থাকায় এখন অনলাইন পণ্য রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।
৭. কোডিং
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কেউ যদি ভালো কোডিং পারে তাহলে এপ ডেভেলপ, ওয়েবসাইট ডেভেলপ বা কোনো কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার বানিয়ে আয় করা যাবে।