টাইমস্কেল বঞ্চিতপ্রধান শিক্ষকবৃন্দের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

লিপি খাতুন:
০৯/০৩/১৪থেকে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত সময়ে টাইস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের না পাওয়ার বেদনা আর কষ্টটাকে আপনি হৃদয়ে ধারণ করেছেন।

#২২ আগস্ট ২০২০ তারিখে প্রধান শিক্ষক সমিতির ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে জানতে পারি আপনি টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের উদ্ভূত সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানে অত্যন্ত আন্তরিক।

#অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন জন যুগ্ম সচিবের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছেন উক্ত কমিটি নিরলস পরিশ্রম করছেন আমরা আশাবাদী অচিরেই টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ।

#অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই আমরা বঞ্চিত শিক্ষকবৃন্দ আপনার অত্যন্ত আন্তরিক এবং দৃঢ় পদক্ষেপ আশা করছি।

৷৷৷৷৷৷ যৌক্তিক কারণসমূহ৷৷৷৷

১) ০৯/০৩/১৪-এর আদেশে গ্যাজেটেড উল্লেখ করা হয়নি এবং প্রশিদেরকে ১১ তম গ্রেড দেয়া হয়েছে।

২)প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১২/০৮/২০১৫-এর পত্রে প্রধান শিক্ষকদেরকে আপাততঃ নন-গ্যাজেটেড ঘোষণা করা হয়েছে।

৩)প্রাগম-এর ০৭/০২/১৬-এর পত্রে প্রধান শিক্ষকদেরকে নন-গ্যাজেটেড হিসাবে বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৪)নন-গ্যাজেটেড হিসাবে ২০০৯-এর বেতন স্কেলের ৭(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রাপ্য।

৫)অর্থ মন্ত্রনালয়ের ১৫/১১/১৭-এর পত্রের আলোকে ০৯/০৩/১৪ তারিখের পূর্বে প্রাপ্ত টাইমস্কেলের করেস্পোন্ডিং হয়েছে,যা গ্যাজেটেড কর্মকর্তাদের হয়না।

৬)আজ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করে কোন গ্যাজেট প্রকাশ হয়নি।

৭)এখনও প্রশিদের সার্ভিস বই বন্ধ করা হয়নি।

৮) BSR-এর 48 বিধি অনুসারে চাকুরীকাল গণনা করে টাইমস্কেল দেয়া হয়। ০৯/০৩/১৪ থেকে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত টাইমস্কেল প্রদান না করলে উক্ত সময়ের চাকুরীর ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে না।

৯)১৯৯৯ বা ২০০০ সনে একই সাথে ও একই দিনে সহকারি শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে একজন ২০০৭-এ প্রধান শিক্ষক পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসাবে নিয়োগ পান। ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক ১১ নং গ্রেডে এবং সহকারি শিক্ষক ১০ম নং গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

১০) ০৯/০৩/১৪ থেকে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল মঞ্জুর না হলে এ অসঙ্গতি দূর হবে না। একই সাথে নিয়োগ পেয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের কারণে এক গ্রেড নিচে বেতন পাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।

১১)একজন আট বছর পূর্তির পূর্বেই প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন এবং প্রধান শিক্ষক হিসাবে আট বছর পূর্ণ হয় ০৯/০৩/১৪ এর পরে। ফলে অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে২০ বা ২১ বছর চাকুরি করেও প্রধান শিক্ষক কোন টাইমস্কেল পাননি।

আমাদের প্রাণ প্রিয় অভিভাবক মান্যবর সদাশয় সিনিয়র সচিব স্যার, আপনার সততা,দক্ষতা, আন্তরিকতা, যোগ্যতা, সাহসিকতা দূরদৃষ্টি উদ্ভাবনী এবং এবং বিশ্লেষণী শক্তি আর আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার গভীর মমত্ববোধ আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনি বর্ণিত সমস্যাটি সমাধানের অত্যন্ত আন্তরিক। আপনার সাহসী এবং দৃঢ় পদক্ষেপে অচিরেই টাইমস্কেল বঞ্চিত। প্রধান শিক্ষকদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে। ইনশাআল্লাহ।
লিপি খাতুন,প্রধান শিক্ষক,প্রতিভাময়ী সপ্রাবি

সিনিয়ার সহসভাপতি,প্রধান শিক্ষক সমিতি,দীঘলিয়া,খুলনা


Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।