জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া ৬টি বাস অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত ছাড়াই পরে থাকা বাসগুলোর বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। তবে এ নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বাস উপহার পাঠান প্রধানমন্ত্রী। ওই বছর বিআরটিসি ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার’ লেখা সম্বলিত আরও ৪টি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে পাঠায়। তবে কিছুদিন না যেতেই পরে পাঠানো চারটি বাসের প্রতিটির জন্য দৈনিক ১৪০০ টাকা করে ভাড়া দাবি করে বিআরটিসি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ৬টি বাসই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাসগুলোর ভাড়া পরিশোধের প্রয়োজনীয়তা নেই জানিয়ে বিআরটিসিকে চিঠি পাঠায়।
কিন্তু এই চিঠির কোনো উত্তর না দিয়ে ভাড়া পরিশোধের তাগিদ দিয়ে নতুন করে চিঠি দেয় বিআরটিসি। এ পর্যন্ত অন্তত দেড় কোটি টাকা বকেয়া ভাড়া দাবি করেছে বিআরটিসি।
বিআরটিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ দ্বিমুখী অবস্থানের কারণেই মূলত বাসগুলোর এমন দশা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন কার্যালয় বলছে, যখন ৫২ আসনবিশিষ্ট ‘চায়না ডেলিগেটেড সিএনজি’ বাসগুলো উপহার দেওয়া হয়েছিল, তখন একেকটি বাসের দাম ছিল প্রায় ৩২-৩৫ লাখ টাকা। বাসগুলো নষ্ট হওয়ার পর বিষয়টি বিআরটিসিকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু সে চিঠির উত্তর দেয়নি বিআরটিসি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিআরটিসির চারটি বাসের ভাড়া আমরা পরিশোধ করতে পারবো না। ভাড়া মওকুফের জন্য বিআরটিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা চিঠির কোনো উত্তর দেননি। তাদের এই বাসতো আমরা বিক্রিও করতে পারি না। তবে উপহারের দুটিসহ আমাদের পরিত্যক্ত অন্য বাসগুলো বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে।