জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বয়রা ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম ও আদালতের সহকারী আল-আমিন।
এর আগে গত রোববার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিন শুনানি শেষে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরো পড়ুন: অফিসার নেবে সিটি ব্যাংক, লাগবে না অভিজ্ঞতা
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সদর উপজেলার বয়রা ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছিলেন। তিনি যে সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, সেটি জাল ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল আমিন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর মহা-পরিচালক উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দাখিল করা সনদ যাচাই-বাছাই করার জন্য ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ অক্টোবর বগুড়া নট্রামস কলেজে পাঠানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ সনদটি যাচাই-বাছাই করে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম ফেরদৌস আলম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ নভেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন যে, শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দাখিল করা সনদ ভুয়া।
পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুন রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাঁকে।