নিজস্ব প্রতিবেদক,২৭ সেপ্টেম্বরঃ জাতীয়করণকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাতিল ও এ বাবদ গৃহিত অতিরিক্ত টাকা ফেরতের বিষয়টি পূনর্বিবেচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলো অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব রওনক আফরোজা সুমা স্বাক্ষরিত ২৪ সেপ্টেম্বরের পত্রে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি পূণর্বিবেচনার প্রস্তাব নাকচ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২ আগষ্ট তারিখের পত্রে জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৃহিত টাইমস্কেল বিধিসম্মত নয় বলে এ বাবদ গৃহিত অর্থ আদায়ের নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনা পূনর্বিবেচনা করে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ( চাকরীর শর্তাদি নির্ধারণ ) বিধিমালা ২০১৩ এর ২ (গ ) ৯ এর ( ১,২,৩ ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৮৮৯ নং পত্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১৫৫ নং পত্রের আলোকে সহকারী শিক্ষকদের টাইমস্কেল এবং প্রধান শিক্ষকদের উভয় পদের সমষ্টির ভিত্তিতে দেয় টাইমস্কেল বৈধ মর্মে মতামত প্রদান করে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের দপ্তর হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরন করা হয়। অতিরিক্ত মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ফাতেমা ইয়াসমিন এর ৬ সেপ্টেম্বর তারিখের পত্রে এ মত প্রদান করা হয়।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখের পত্রে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে মন্ত্রণালয় হতে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের টাইমস্কেল বা সিলেকশনগ্রেড প্রদানের জন্য কোন পত্র প্রদান করা হয়নি৷ এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ১৫৫ নং পত্রটি বিষয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পত্রে আরও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে পত্রালাপে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ছিল।
এ পত্রের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের ১২ আগস্ট তারিখের ৯২ নং পত্রের আলোকে জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৃহিত টাইমস্কেল বাতিল ও এ বাবদ গৃহিত অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশটি বহাল রইল।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘সম্মানিত সহজ সরল নবজাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে,আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে সরকারি প্রচলিত আইন ও বিধির বাইরে টাইমস্কেল নেয়ানো এবং পদোন্নতি ও জৈষ্ঠতা নিয়ে ৫০% সিনিয়রিটি কাউন্ট করার বিষয়ে কিছু নবজাতীয়করণকৃত নেতৃবৃন্দ শতশত মামলা করে নিরীহ শিক্ষকদের অনেক ক্ষতি করেছেন,বিভিন্ন অফিসে দেয়ার নামে বিধিবর্হিভূতভাবে শিক্ষকদের অর্থ নিয়ে কিছু কর্মকর্তাদের লাভবান করেছেন এবং তারা নিজেরা লাভবান হয়েছেন,সাধারণ শিক্ষকদের বিপদের মধ্যে ফেলেছেন।যা অত্যন্ত দুঃখজনক।আমরা অবশ্যই প্রচলিত আইন এবং বিধি মোতাবেক তাদের দাবী ও অধিকারের সাথে একমত।’