ছুটি ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায়, চাকরি হারালেন বিচারক কানিজ ফাতেমা

চাকরি হারালেন বিচারক কানিজ ফাতেমা

নির্ধারিত ছুটি কাটানোর পরেও তাগাদা পেয়ে কাজে যোগদান না করার ঘটনায় চাকরিচ্যুত হলেন যুগ্ম জেলা জজ কানিজ ফাতেমা।
রোববার (১৮ জুন) চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। ফলে তিনি কোনো বেতন, ভাতা ও পেনশন সুবিধা পাবেন না।
বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন।

আরো পড়ুন: হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল

সভার একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, যুগ্ম জেলা জজ কানিজ ফাতেমা নির্দেশনা অমান্য করে দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। এ জন্য তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন জিএ কমিটি কানিজ ফাতেমাকে চাকরিচ্যুতের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত আজ অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা।

এছাড়া সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯৬ জন বিচারকের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষা ছুটি নিয়ে তিন বছর এক মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন যুগ্ম জেলা জজ কানিজ ফাতেমা। ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরকার তার ছুটি মঞ্জুর করে। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছুটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। তবে ছুটি শেষ হলে তিনি আবারও ছুটির আবেদন করেন। পরে তা নামঞ্জুর করে ১৫ দিনের মধ্যে তাকে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করতে থাকেন। ছুটি ছাড়া সেখানে অবস্থানের দুই মাস পর তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এর জবাবও দেন ওই বিচারক। তবে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও সার্ভিস ত্যাগের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করে মন্ত্রণালয়।

সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী তদন্তের জন্য উপ-সচিব এ কে এম এমদাদুল হককে দায়িত্ব দেয় মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে বিচারক কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘সার্ভিস ত্যাগ’-এর দায়ে বিধি ১৬ (খ) (৪) অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ গুরুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টে মতামতের জন্য পাঠানো হয়। গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।