নিজস্ব প্রতিবেদক ,৭ এপ্রিল ২০১৯: ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ফেনীর দাগনভূঞা গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক লিখিতভাবে অভিযোগে করেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীর মা দাগনভূঞা থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আবদুল করিম (৫৫) নামের ওই প্রধান শিক্ষক নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, মেয়ের পেটে পাথর হয়েছে কিংবা পাকস্থলির অন্য কোনও সমস্যা। তবে গত মাসে তারা এক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তাদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।
দাগনভূঞা থানার ওসি ছালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, ‘শিক্ষাথীর অভিভাবকরা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল করিমকে আটক করা হয়েছে।’
ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার পিপিএম বলেন, শিশুটির অন্তঃসত্ত্বা বিষয় নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে এই ঘটনায় দ্রুত মামলা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
by