নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে অভিযুক্তের পক্ষে পক্ষপাত ও গাফলতির অভিযোগ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। একইসঙ্গে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রশাসনিক প্রহসন আখ্যা দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
এই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আসন্ন সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে রেজিস্ট্রার ভবন অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তারা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে দায়মুক্তি দিতেই প্রশাসন গড়িমসি করছে।
আরো পড়ুন: খুবির মেধাতালিকায় ভর্তি শুরু, পরে অপেক্ষমান থেকে
গতকাল বিকালে নতুন কলা অনুষদের ৩২৭ নম্বর কক্ষে ৩ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘নতুন করে নিরেপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, অভিযুক্ত শিক্ষককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে, দায়মুক্তি লেখানোর ক্ষেত্রে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও সহকারী প্রক্টর মুহিবুর রৌফ শৈবাল সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখে প্রমাণিত হলে তাদের অব্যাহতি দিতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি, সম্পাদক সামি আল জাহিদ, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ, সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়, বিশ^বিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্নব, সাংগঠনিক সম্পাদক আলিপ মাহমুদসহ প্রমুখ।