চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃত এক প্রার্থী রিট করার কারণে চূড়ান্ত সুপারিশের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত সুপারিশ করা যাচ্ছে না।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের সাথে আলোচনাকালে এসব কথা জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এনটিআরসিএর সচিবের সাথে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমের সামনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি মো. ইমরান খান।
আরো পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ না করলে লাগাতার অবস্থান
তিনি জানান, এনটিআরসিএর সচিবের সাথে আমরা সাক্ষাৎ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি দিতে প্রস্তুত। তাদেরও কোনো আপত্তি নেই। তবে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে চূড়ান্ত সুপারিশে বিলম্ব হচ্ছে।
মো. ইমরান খান জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও নিয়োগের সুপারিশ পাননি সাবেককুন নাহার নামে একজন। তিনি আদালতে রিট করেছেন। সেই রিটের কারণে আদালত নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এটির সুরাহা হলে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
এদিকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ না করা হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।
এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, আমরা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি। এর মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে মানবববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তরা। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন এনটিআরসিএর সচব ওবায়দুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিনিধি দল।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ।
প্রার্থীদের সঠিকভাবে ভি-রোল ফরম পূরণের জন্য কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভি-রোল ফরম পূরণ শেষে চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। তবে এখনো চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় আটকে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।