রোববার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়নের শম্ভুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ও পোরান মিলে ২টি ভবনে ৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি কক্ষ পুলিশ দখলে নিয়েছে। ২টি ভবনের মধ্যে ১টি ভবনের অবস্থা খুবই জরাজীর্ন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চও দখল করে পুলিশ সদস্যদের ঘুমানোর বেড ও তাদের মালামাল রাখার জায়গা করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে পরিত্যাক্ত ভবনটিতে ২টি শ্রেণির কার্যক্রম চালাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থান সঙ্কুলনের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও বিদ্যালয়ের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ দান চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ ক্যা¤পটি নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর করে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চুয়াডাঙ্গা ১আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
শম্ভুনগর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জামিরুল ইসলাম জানান, স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত এবং আমাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ক্যাম্পটি দ্রুত এখান থেকে সরিয়ে নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর করার চেষ্টাচালিয়ে যাচ্ছি আমরা। শম্ভুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.কামাল হোসেন জানান, পুলিশ ক্যাম্পের কারণে ২শ ৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের বাথরুম দু’টি বেশিরভাগ সময় পুলিশের দখলে থাকায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
এ বিষয় জানতে চইলে কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানায়, ২০০৬সালে শম্ভুনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ৫০ শতক জমি দান করেন। পরের বছর চুয়াডাঙ্গার তৎকালীন পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিনের উদ্যোগে ভবন নির্মাণ করার জন্য ইট সংগ্রহ করা হয়। এর পর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুদান হিসাবে নগদ ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হলেও অদ্যবধি পুলিশ ক্যাম্প ভবন স্থাপন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা ১আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রশিদুল হাসানকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করা হয়েছে। তারা অতি দ্রুত পুলিশ ক্যাম্প ভবন নির্মাণ করার আশ্বাস প্রদান করেছেন বলেও তিনি জানান।